মুসলিম বিবাহ
![]() |
| মুসলিম পারিবারিক বিয়ে |
১. পাত্র-পাত্রীর যোগ্যতা
ও সম্মতি:
- বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী বরের বয়স কমপক্ষে
২১ বছর এবং কনের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হয়। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি
নিয়ে এই বয়সের কম হলেও বিবাহ করা যায়।
- বিয়ের জন্য পাত্র ও পাত্রী উভয়ের পূর্ণ ও স্বাধীন সম্মতি
প্রয়োজন।
- ইসলামে জোরপূর্বক বিয়ে নিষিদ্ধ।
২. মোহরানা নির্ধারণ:
- মোহরানা হল বিয়ের সময় পাত্র কর্তৃক পাত্রীকে প্রদেয় অর্থ
বা সম্পদ। এটি ইসলামী বিয়ের একটি অপরিহার্য অংশ।
- মোহরানা নির্ধারণ করতে হবে এবং তা বিয়ের চুক্তিতে (নিকাহনামা)
উল্লেখ করতে হবে।
৩. বিয়ের প্রস্তাব,
গ্রহণ (ইজাব ও কাবুল) ও সাক্ষী:
- বিয়ের প্রস্তাব (ইজাব) এবং গ্রহণ (কাবুল) স্পষ্টভাবে হতে
হবে।
- পাত্রী বা তার প্রতিনিধি প্রস্তাব দেবে এবং পাত্র বা তার
প্রতিনিধি তা গ্রহণ করবে।
- এই প্রক্রিয়া অবশ্যই দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষ
অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন করতে হবে।
- সাক্ষীরা বিয়ের প্রস্তাব ও গ্রহণ শুনবেন এবং তা নিশ্চিত
করবেন।
৫. বিয়ের চুক্তি (নিকাহনামা/কাবিননামা):
- বিয়ের চুক্তি (নিকাহনামা) লিখিতভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
- নিকাহনামায় পাত্র-পাত্রীর নাম, মোহরানা, বিয়ের তারিখ এবং
অন্যান্য শর্তাবলী উল্লেখ করতে হবে।
- নিকাহনামা রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। এটি স্থানীয়
কাজী (বিয়ে রেজিস্ট্রার) করে থাকেন।
6. বিয়ের পর করণীয়:
·
মোহরানা প্রদান: মোহরানা পাত্রীকে প্রদান করতে হবে (এককালীন বা কিস্তিতে)।
·
সামাজিক দায়িত্ব: ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব ও অধিকার পালন
করা।
মুসলিম বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক
ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি শুধু দুইজন মানুষের বন্ধন নয় বরং দুটি পরিবারেরও মিলন। তাই
বিবাহ সম্পন্ন করার আগে সকল নিয়ম ও শর্ত ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
কামরুজ্জামান
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মোবাইলঃ 01911062020
ইমেইলঃ adv.kamrul@yahoo.com
.jpg)
No comments